মানুষ ও বৃক্ষ
বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছি শরীরে লেপ্টে থাকা অবশিষ্ট ধূলো সভ্যতার নোংরামীতে কলঙ্কিত হয়ে গেছে জীবনের অধ্যায়। কে যেন বলেছিল মাটির সাথে মানুষের আত্মার সম্পর্…
বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছি শরীরে লেপ্টে থাকা অবশিষ্ট ধূলো সভ্যতার নোংরামীতে কলঙ্কিত হয়ে গেছে জীবনের অধ্যায়। কে যেন বলেছিল মাটির সাথে মানুষের আত্মার সম্পর্…
নোটিশবিহীন জীবনের খবর ঝুলিয়ে রেখেছি শুঁড়িখানায় নিষেধাজ্ঞার মোড়কে বন্দি হয়েছে অভিজ্ঞতার আসর। দেয়ালে আঁকা আছে চিকা মারার ইতিহাস …………………………………………….…
বিপন্ন সময়ে নষ্ট শহরে বসেছে পূজারীর মেলা ভুল মন্ত্র জপে জপে বাড়িয়েছে ভবিষ্যতের দেনা যাযারব জীবনে ঋতুর মত কত সহজে পরিবর্তিত হয় মানুষের মন এখন হাত…
পৌষের রাত্রির অন্তর্বাস খুলে জটিল জ্যামিতিক হিসাব কষতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে যৌবন ভুলে গেছে কুয়াশার সংকেত, নারীর পেলব শরীর। আত্মার সম্ভ্রম হরণ করতে ছক কর…
চিন্তার আকাশ মাথায় নিয়ে রাজপথ ছুঁয়ে মাঝে মাঝে হেঁটে যাই অভিমানী পদচিহ্ন রেখে যেতে চাই নাগরিক কোলাহলের ভীড়ে। বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়া কিছু পুরনো…
বেহুদা রাত্রির ভৎর্সনায় দাঁড়িয়ে যায় স্মৃতির মিনার বিরহ সংগীত শুনে বোধের আঙ্গুল গুণে স্তন চুষতে থাকে দু্গ্ধপোষা শিশু উত্যক্ত রাত্রির নাগরিক শোকে আমা…
শীতের তারাগুলো একে একে খসে পড়ছে লেপের ভিতর উষ্ণতার আবীর নয় খসে পড়া দুঃখরা মিছিল করবে বলে দখলে নিয়েছে হৃদয়ের রাজপথ জলপাই রঙের কষ্ট আর নির্ঘুম যন্ত্র…
নীরার সাথে এভাবে দেখা হয়ে যাবে আমি কল্পনাও করতে পারিনি। তখন সবে মাত্র সন্ধ্যা। শাহবাগের ল্যাম্পপোস্টের লাইটগুলো এক এক করে জ্বলে উঠতে শুরু করেছে। জা…
ঘুমের ঘোরে নাক ডাকার শব্দ অসহ্য লাগে রুণার। ছোটবেলা থেকেই এব্যাপারে সে বেশ খুঁতখুঁতে স্বভাবের ছিল। আর তার কপালেই কি না এমন স্বামী মিললো পেল যে কিনা…
কবিতার শরীর জুড়ে ভীড় করছে কামুক শব্দরা মুগ্ধ মায়ায় পড়ে কবিতারা অন্তর্বাসের হুক খুলে শুয়ে আছে কিংবদন্তী হওয়ার নেশায় ওদিকে বুকের মধ্যে রক্ত দিয়ে …
শব্দের হাত ধরে এবার কবিতার চাষাবাদ করি গত চৈত্রের মরা খরায় রোগে-শোকে মুহ্যমান শব্দরা অকালেই মেরে ফেলেছে পোয়াতি কবিতাকে আদিম অন্ধকারে পড়ে হারিয়ে ফেল…
নাগরিক সেবা দিতে গিয়ে দায়িত্ব ভুলে ঘুমিয়ে গেছে অষ্টাদশী চাঁদ আমি তো বড়ই জীবনবাদী মানুষ খিড়কী না দিয়েই বসে আছি ঝরে পড়া তারা দেখার অপেক্ষায়। ইচ্ছের প…
আমায় ছেড়ে কতদূর যাবে তুমি দিগন্ত জুড়ে প্রসারিত করে রেখেছি দু’হাত করুণা-ভিক্ষা নয় বেদনার শিশির কণা মুঠো ভরে নিতে উন্মুখ হয়ে আছি বসে । কষ্টের হাহাক…
যখন আমি থাকবো না তখন তোর বিবমিষা আসতে পারে সুখের স্মৃতিগুলো গুলিয়ে উঠতে পারে পেটের ভিতর যদি এমন হয় তবে একটা নরম বালিশ পেটে চেপে ধরে রাখিস আমার হাতে…
রাত-বিরাতে ঘুমহীন নেড়ী কুত্তগুলো ঘেউ ঘেউ করে ডাকে বেওয়ারিশ কামে মত্ত হয়ে পড়ে লজ্জাহীন রাতে যৌবনের জন্যে নয় পেটে বিপুল ক্ষুধা নিয়ে ঘুরে বেড়ায় আঁধার…
আকাশে আর উড়বে না বলে বিক্ষোভ ডেকেছে পরিযায়ী পাখির দল দিগন্তের বক্ষজুড়ে দেখা দিয়েছে হায়েনার নখের আঁচড় উত্তুঙ্গ বাতাসের কাছে পরাজিত হয়েছে আষাঢ়ের ঢল। …
কি চাও তুমি? ভৌতিক পরগাছার মত সময়ের উঠোন ফুঁড়ে কেন বার বার কাছে আসো প্রহেলিকা পৃথিবীতে প্রেমের ইতিহাসের যবনিকাপাত ঘটেছে বহু আগেই উদলা বাতাসে মিশে গ…
একটা ক্লান্ত নদী দে তুই সাঁতার কাটবো পৌষের দিনে ঝড়ো হাওয়ার মাতম তুলবো শান্ত ঢেউয়ে আমায় একটা খেয়ালী রাত এনে দে ধূর্ত চাঁদের জোছনা হবো ভুল স্বপ্নে বি…
লেনদেনের খাতায় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হয়েছে রাতের হিসেব পথের ক্লান্তি নেমে আসা দু’চোখ বেয়ে সহসাই গড়িয়ে পড়ছে হতাশার জল একনিমেষেই এখন নাকি লেখা হয়ে যায় না…
রূপকথার নির্মাণে সদ্য জন্ম নিল আরও একটি দীঘল কাল রাত আয়নার সামনে বসে রূপসজ্জা করে আর লাভ নেই সত্যের শান দেয়া ছুরিতে মরীচিকা পড়েছে শতাব্দি কাল আগেই …
ঘাতকের কাঁধে এখন শোভাবর্ধন করে চলে বিশ্বাসের লাশ অমাবশ্যার দীর্ঘ রাত হেঁটে যায় তেপান্তরের পথে জীবনের রং-ঢং বন্দি হয়ে আছে সাদা কফিনে তারপরেও আমরা সন…
মাঝে মাঝে সক্ষমতার অভাবে মাটি চাপা দিয়ে রাখি ইচ্ছের বিলাস জলবতী মেঘের অবিশ্রান্ত বষর্ণে ধুয়ে যাচ্ছে সমস্ত নান্দনিক স্বপ্ন না পাওয়ার অভিমানে লজ্জাবত…
মেঘদের সাথে নিয়ে উড়ে যায় বিষন্ন রাতগুলো নিশাচর পাখিরা শেষ বারের মতো শীষ দিয়ে জানান দেয় নিষিদ্ধ রাত্রির ইশতেহার জানলার কাঁচে প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসে…
মাফ করবেন, বাবা কি করেন? এই প্রশ্ন করে আমাকে বিব্রত করবেন না আমি এক মায়ের সন্তান, যে কিনা হৃদয়ের গোপন কুঠুরিতে হিংসা নিয়ে বড় হচ্ছে বাবা নামের কাপু…
প্রেমের স্বরূপ সহজে বুঝতে চায় না ভোগের আশায় দন্ডায়মান মেয়ে স্বপ্ন রাজ্যের সুখ বাতাসে উড়িয়ে ঠোঁটে নিয়ে ঘোরে অতৃপ্তের হাসি। অন্তরের প্রদীপ নিভে দিয়ে …
নিঃসঙ্গতাকে সাথী করে হেঁটে হেঁটে পার হয়ে যাব মরুপথ বৈপরীত্যের চাঁদের জোছনা আগেই ডুবিয়ে দিয়ে এসেছি সুন্দরবনের ঘন জঙ্গলে জন্মান্তরের পাপ ছাড়া এখন আর …
কালের সাক্ষী পুরনো ডায়রিটা এখনও অযত্নে পুষে রেখেছি বুকের ভিতর অধঃ পতনের অভিঘাতে কুকড়ে যাচ্ছে তোমার প্রান্তিক ভালোবাসা। অসহায় ক্রোধের অগ্নি রচনা কর…
নন্দিনী যদি চাও তোমার আমীলিত ওষ্ঠাধরে জমা রাখতে পারি ভালোবাসা বিশ্বাস করে হাতটি ধরলে মূহুর্তেই পাড়ি দিতে পারি তেপান্তরের মাঠ। কারো হিম্মত নেই, নেই …
চুপ! কাব্যিক জগতে এতো অ-কাব্যিক কোলাহল হচ্ছে কেন? কাব্য দেবী ভয় পেয়ে দূরে চলে গেলে শূন্য মাথা নিয়ে পড়ে থাকতে হবে। শুধু শুধু কপাল পুড়িয়ে জীবনের গল্প…
হ্যামলিনের নেংটি ইদুরের মতো মানুষের ভালোবাসা হৃদপিন্ড থেকে সেই কবেই হুস্ করে বের হয়ে গেছে। স্তব্ধ প্রহরে ঠোঁটে কৃত্রিম হাসি মেখে সনাতনী প্রেম বখতিয়…
ভয় …………… তুমি যেমন নারী তেমনি একজন মানুষও বটে আর মানুষকেই আমার সবচেয়ে বেশি ভয় হয়। স্পর্ধা ………………. তোমার নীরবতায় স্পর্ধা বেড়ে গেছে আমার। কোথাও য…
তুমি আসবে বলে ……………………….. হাত পাখাটিকে ছুটিতে পাঠিয়েছি গতকাল মাথার উপর অনবরত পতপত করে ঘুরতে থাকা বৈদ্যুতিক আজব যন্ত্রটিকেও বিশ্রাম দিয়েছি …
মুমূর্ষু গোলাপগুলো তারপরেও হেসে ওঠার চেষ্টা করে শেষ বারের মতো। ঝরে পড়ার আগেই কোন অষ্টাদশীর খোপায় আশ্রয় পাওয়ার আশায় স্বপ্ন বুনে চলে অবিরাম। সঙ্গীহারা…
তুমি চোখ মেলে চাইলেই আমার কবিতারা পরিপুষ্ট হয় ভাষাহীন নিশ্চুপ রাত্রিতে স্লোগানে স্লোগানে ভরে ওঠে খেরো খাতা। প্রিয়ার গোপন শাসনে বিশ্বাসী শব্দরা আশ্র…
বিশ্বাস করো আমি তোমার কাছে এসেছি কবিতা লেখা শিখতে নৈরাশ্যে পতিত মজ্জমান ব্যক্তি একগাছি তৃণ পেলে অাকড়ে ধরে যেভাবে প্রাণ বাঁচাবার চেষ্টা করে তেমনি প্…
শহুরে নাগরিক কাকের কর্কশ কণ্ঠে জীবনের খেই হারিয়ে ফেলেছে মাতাল ভোর ওদিকে গুম করা দেহ ব্যবচ্ছেদ করে নিয়তির ফয়সালা দেখে সংক্ষুব্ধ সাদা-কালো মানুষ। ফ…
ভালোবাসায় ভয় নেই ………………………………. কেন মিছেমিছি ভয় দেখাও তোমার প্রেমে ডুবে মরবো বলেই তো আজও সাঁতার শিখিনি। পূনর্জন্মের অপেক্ষা ………………………………… পূনর্জন্…
মেঘধ্বনির আড়ালে অতৃপ্ত আত্মা নিয়ে আমি ডেকে যাচ্ছি তোমায় মেয়ে, জানালার গ্রিল ধরে বাইরে দৃষ্টি মেলে দেখ তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে জানালা গলিয়ে হাত বাড়ালেই…
পোশাকি আবরণ খুলে আবারও নগ্ন হবো ফিরে যাব আদিম সত্ত্বায়। নগরের আশ্রয় হারানো ডানা ভাঙ্গা পাখির সাথে মিতালী করে স্নিগ্ধ অন্ধকারে খুঁজে নেবো পরিযায়ী সু…
উজানে মানুষের ঢল নেমেছে ভাটিতে হচ্ছে সারা কেঁদে কেঁদে রাতদিন কাটছে তাদের হয়েছে দুকূল হারা ফসল খেয়েছে রাক্ষুসী বান ভিটে খাচ্ছে নদী ওহে দয়াময় দরদী তো…
(১) আনাড়ি কবির কীবোর্ডের চাপে মাজা ভেঙ্গেছে কবিতার কলমের খোঁচায় শব্দরা অকালে ভূমিষ্ঠ করে সন্তান। অবশেষে বাবা হওয়ার স্বাদ নিয়ে হাসি মুখে আঁতুড় ঘর…
নন্দিনী ডাগর চোখের চাহনীতে আমার বাউন্ডুলে মন নিয়েছিস তুই কেড়ে আগে তো জানিনে প্রয়োজন ফুরালে দিবি আমায় ফেলে, আমি তো বার বার আসি ফিরে পুরান প্রেমের টা…
কষ্টের লাঙ্গল অনবরত চষে বেড়াচ্ছি ক্ষুধার্ত পেটে ভালোবাসা উর্বরা হবে বলে নিরন্তর পুড়ে যাচ্ছি অনলে। সুখ নয় হাতের মুঠোয় নিয়ে ঘুরছি নিকোটিনের বিষ মেয়ে…
প্রিয় সুনয়না, একুশ শতকের এই ডিজিটাল যুগে এই চিঠি দেখে তুমি হয়তো একটু অবাক হবে। ভাববে আমি হয়তো এখনও সেই মান্ধাতার আমলেই পড়ে আছি। আমি জানি এমতেই …
“মা” এখন কেমন আছো তুমি। ইট-সিমেন্টের চার দেয়াল ঘেরা এই ঢাকা শহরে প্রতিটি ক্ষন শুধু তোমার কথা মনে পড়ে। এখন আর ইচ্ছে হলেই আগের মতো তোমায় দেখতে পারি না…
নন্দিনী, এইখানে বসো দুচোখ মেলে তাকাও শীতল হাওয়ার চুম্বনে জুড়িয়ে দেব কপোল মাঝে মাঝে বুকের কার্নিশ ছুঁয়ে আমায় নাড়া দিয়ে যেও। এইখানে আরও কিছুকাল বসে থ…
খোকা কেমন আছিস জানতে চাইবো না। কেননা সব মায়েদের চাওয়াই থাকে তার খোকা যেন সব সময় ভাল থাকে, সুস্থ্য থাকে। আমাকে ছেড়ে নিশ্চয়ই তুইও ভাল আছিস। আর ভাল থাক…