মৌনতার কবিতা
প্রশ্ন করে কথার মিছিল বাড়াতে চাই না, দীর্ঘ করতে চাই নাই রাতের আসর জলের মতই নিঃশব্দে চলে যেতে চাও, জলেরও তো নিজস্ব ভাষা আছে কেউ শোনে না বলেই বোবা মা…
প্রশ্ন করে কথার মিছিল বাড়াতে চাই না, দীর্ঘ করতে চাই নাই রাতের আসর জলের মতই নিঃশব্দে চলে যেতে চাও, জলেরও তো নিজস্ব ভাষা আছে কেউ শোনে না বলেই বোবা মা…
সর্বনাশা চোখের দিকে চেয়ো না ঐ চোখে এখন সহসাই জ্বলে ট্রয়ের আগুন তীব্র আঁচে উন্মাদ হয়ে গেছে মৃতচাঁদের জ্যোৎস্নাদল শহুরে জমিনে লেগে আছে তামাটে গন্ধ। …
ইচ্ছের নদী পার হয়ে মাঝে মধ্যে আমি সমুদ্র হয়ে যাই দূরবর্তী মেঘের সাথে করি পত্রমিতালী বন্ধুত্বের আশায় জীবনের যতো স্মৃতি কথা লিখে রাখি মাঝির বুকে পাড় …
আমিও তো পুরুষ আমারও তো লোভ হয় তোমার ঠোঁটে রাখি তৃষিত দুই ঠোঁট ঘামে ভেজা বিশ্বাসগুলো জমা রাখি হাতের মুঠোয় প্রথাবিদ্ধ ভালোবাসার বন্ধন ভেঙ্গে দিয়ে প…
দুপুরের কড়া রোদে স্নান শেষ করেই লকলকে জিহ্বাটা বের করে হাঁপাতে থাকে বয়সী বৃক্ষের মত বসে থাকা একলা কুকুর অপার্থিব রুক্ষ আর শূন্য পথগুলো একে একে ঢ…
তুমিও মানুষ! পুড়ে যাওয়া রূপালি ঠোঁটে কেমন করে ধরে রেখেছো জ্বলন্ত সিগারেট প্রাপ্তবয়স্ক মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটিয়ে গৃহহীন ভিখারীর মত করে আঁধারের বেশ…
মাতাল ভোরে জীবনের খেই হারিয়ে বানের জলে ভাসতে ভাসতে সঙ্গী ছাড়া একাকী একটি হাঁস বেদনার নদীর সাথে গড়ে তোলে বহতা সংসার। বয়ঃ বৃদ্ধ ধ্যানী নদীটির সাথে সন…
তুমি বিখ্যাত হলে শুধু আমি খুশি হই না খুশি হয় ফেসবুক , টুইটারসহ দুনিয়ার তাবৎ সোস্যাল মিডিয়া বিচিত্র ছবির ঝলকানিতে জৌলুস বাড়ে …
কেউ কেউ মানবতার দোকান খুলে বসে পড়ুক বুনিয়াদি প্রেমের দীক্ষায় খুলে যাক বন্ধুত্বের অসীম দুয়ার চরমপন্থী নষ্টরা খুঁজে পাক অপার আশ্রয়স্থল ছন্নছাড়া জীবন…
বিপরীত রংয়ে আঁকা বাঁকা পথে হেটে হেটে ক্লান্ত মানুষেরা জীবনের ভাঙ্গা আয়নায় বৃথা দেখার চেষ্টা করে সুখের প্রচ্ছদ চারদিকে কেবল শূন্যতার হাহাকার, না পাও…
আমাকে তোমার মত করে নিও শীতার্ত জানালার কার্নিশে জমে থাকা শিশির কণার মত সূর্য স্নেহে একটু উষ্ণ আদর দিয়ে বুকে টেনে নিও আমি না হয় জলের মতই সরল হবো চৈত…
ওরা যাযাবর রমণী রাতের সাথে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকে আঁধারের রাতছাড়া ঈশ্বর শূন্য জগতে ওদের কোন আত্মীয় নেই তাদের জলের সংসার সামান্য বৃষ্টিতেই যায় ভাসি …
আমার বুকের ভিতর একটা নদী আছে অথৈ পানি……. ………………….কূল নেই ……………………………..কিনারা নেই….. তুমি এই সুখ সাগরে হাবুডুবু খেতে পারো …………………………………..যখন-তখন…
তুমি নগ্ন হও সভ্যতার পোশাক এক এক করে খুলে যাক শরীর থেকে স্তনের চূড়া থেকে খসে পড়ুক যৌবনের লালা উন্নত বক্ষের সৌন্দর্যে বিমোহিত সব কামুক পুরুষ গেয়ে উঠ…
লোকসানের ভাগীদার কেউ হলো না আমার ঘরে যারা আপন ছিল সুখের দিনে সাথী হয়ে সুযোগ বুঝে তারা সবাই পিছে ফেলে গেছে চলে সারা জীবন টানলাম আমি একাই গরুর ঘানি…
সম্মোহন বিদ্যা আমার জানা নেই তাই তোমার প্রত্যাবর্তনের আশা ছেড়েই দিয়েছি যে ভুল পথে তুমি ডেকে গেছো আমায় সে পথে আজও চলেছি ঠোঁটে নিয়ে অতৃপ্তের হাসি শপথ…