মানবাত্মা পরিশুদ্ধ করে এসো তুমি
আর একবার কাঁদতে এসো তুমি মিছেমিছি নয় সত্যিকার চোখের জল ফেলবে সেদিন চোখে অশ্রুর বর্ষা নামিয়ে আমায় স্নান করে দিও চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকা তৃষিত হৃদয়…
জুন, ২০১৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছেসকল দেখান
দেবতারা অমানুষ
ধোঁয়াচ্ছন্ন রাত্রির অন্ধকারভেদ করে বেরিয়ে আসা দেবতার শিশ্ন কাপালিকতন্ত্রের ফাঁদে পড়ে ব্যস্ত হয়ে খুঁজতে থাকে পেলব যৌবন। মুক্তির লোভ দেখিয়ে আগুনের মত…
আমার ত্রিকাল দর্শন
জন্মান্তরের বাঁধন কেটে গেছে বলে আমার নিজস্ব কোন অতীত নেই আত্মদহনে পুড়িয়ে এসেছি শ্মশান ঘাটে, অবেলার অতিথির মতো ঝুলে থাকা বর্তমান নিয়ে কষ্টের ফেরিওয়া…
আঁধার জয়ের গল্প
বিকেলের ছায়ার মতোই ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছো তুমি ঘাসের ওপর পড়ে থাকা মায়া আশ্রয় খুঁজে অনিরাপদ হাওয়ায় যৌবনের উত্তপ্ততা থেমে গেছে বলে মোমের মতোই বিলী…
বিবেক
সময়ের হিংস্র হাতছানিতে ইদানিং নাকি কেউ কেউ বুভুক্ষু জংলী মানব হয় কুলুঙ্গিতে সযতনে রাখা পরের সুখ খায় সর্বভূক প্রাণীর মতো। অথচ আগুনের ভিতর থেকে তুমি …
মধ্যবিত্তের দিনযাপন
ফর্দিটা হাতে দিয়েই তুমি হলে চুপ আমার বুকের ভিতর করে ধুকপুক নামের বাহারী লিস্ট দেখে মাথা যায় ঘুরে চাল-নুন, তেল-ডাল সবি আনতে হবে। মেয়ের জামা চাই হা…
দুটি কবিতা
(১) ধ্যানমগ্ন রাতে আর কেউ জেগে নেই শুধু আমি আর আকাশের তারা ছাড়া নক্ষত্রের রাতে ঘুমোতে যাবে বলে পণ করেছিল খেরো খাতার কবিতারা স্বপ্ন খস…
লেখা চুরি
অবাক করা ব্যাপারই বটে। দেশের অনলাইন গণমাধ্যমগুলোকে (যারা আমার লেখা চুরি করে প্রকাশ করেছে) তাদের প্রশংসা না করে আর পারলাম না। গত ২৩ মার্চ ২০১৪ তারি…
ঈশ্বর ছুঁয়ে দেখতে চাই
ঈশ্বর ছুঁয়ে দেখবো বলে দুহাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছি তৃষিত অন্তর নিয়ে পিরানহা মাছ হয়েছি নমরূদের মশা গিলে খাওয়ার জন্যে । তোমার এই নশ্বর …
বদলে যাওয়া
প্রাচীন রাগিনীর সুরে সর্বহারা সংশয়ে তুমি কার সনে কথা বলো হে যুবক কার বুকে রাখ মাথা । নষ্ট সময়ের যুগল হাতছানি আর অদ্ভুত নাগরিক আত…
ধূসর কবিতা
একদিন জল জোছনার পাখি হবো তোর আদরের খাঁচা ছেড়ে চলে যাব জোছনার জলে নাইতে জমে থাকা শীতল কষ্টের দহনে অশ্রুশূন্য হবো বিষাদের আদিগন্ত সমুদ্রে স্নান করে অ…
ফেরারী সুখ
ফেরারী বিষন্নতা এবার নির্ভরতার আশ্রয় খুঁজে পাক চোখবুজে সুখের তালাশ করুক বুকের ভিতর। বিরহী মনে রাধা-রমন নৃত্য দেখবো বলে নিকষ অন্ধকার রাতে ধূর্…
