দেবতারা অমানুষ

ধোঁয়াচ্ছন্ন রাত্রির অন্ধকারভেদ করে বেরিয়ে আসা দেবতার শিশ্ন
কাপালিকতন্ত্রের ফাঁদে পড়ে ব্যস্ত হয়ে খুঁজতে থাকে পেলব যৌবন।
মুক্তির লোভ দেখিয়ে আগুনের মতো সুন্দরী মেয়ের শরীরের
ভাঁজে ভাঁজে খোঁজে অশরীরী সুখ ।
ঘুঙুরের শব্দ শুনবে বলে নরকাগ্নির মাঝে অতৃপ্ত আত্মার সাথে
আদিম উল্লাসে ওঠে মেতে।
দেবতার ভয় নেই, সে জানে নরকের অগ্নি তার কিছুই করতে পারবে না।
আজকাল দেবতারাও নাকি অমানুষ হয় জৈবিক ক্ষুধার তাড়নায়
কল্যাণের আলোয় নয় কামনার আগুনে পুড়ে মারে মানুষ
বিশ্বাসের সমুদ্র শুকিয়ে চর হয়েছে বলে
কংক্রিটের দেয়ালে মাথা ঠুঁকে মরছে অষ্টাদশীর স্বপ্ন।
দেবতার ঘাতক চাহনীতে ক্ষয়ে যাচ্ছে মানবতার অায়ু
আত্মা ছিঁড়ে খাবে বলে মাটির পাত্র নিয়ে প্রস্তুত হয়ে আছে আজরাঈল
এমন কুসিৎত সুন্দর কান্ড দেখে ঠোঁটে অতৃপ্ত হাসি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়
শালা অভিশপ্ত মালাউন।

0 মন্তব্যসমূহ