বৃষ্টি বিষয়ক একগুচ্ছ কবিতা




তুমি আসবে বলে
………………………..
হাত পাখাটিকে ছুটিতে পাঠিয়েছি গতকাল
মাথার উপর অনবরত পতপত করে ঘুরতে থাকা
বৈদ্যুতিক আজব যন্ত্রটিকেও বিশ্রাম দিয়েছি কিছুক্ষণ আগে।
তোমার কালো মুখে মুক্তোর হাসি দেখে ঠিকই বুঝেছি
তোমার পরশে তপ্ত ধরনী এবার শীতল হবে।
বৃষ্টির কাছে প্রার্থনা
…………………………
আকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিতে ভিজে যাক সর্বাঙ্গ শরীর, পরিধেয় পোশাক-আশাক
ভারী বর্ষণে একটা জলাশয়ের সৃষ্টি হোক হৃদয় মাঝে
আগাম বর্ষায় পরিপূর্ণ গর্ভবতী হয়ে উঠুক মন
চোখের কার্নিশ ভিজে গড়িয়ে পড়ুক কষ্টের নোনা জল
বৃষ্টির রং. আর ধৈ থৈ জলে সব অবিশ্বাস যাক ধুয়ে ।
চাঁদ নেবে নাকি বৃষ্টি নেবে
…………………………………
তুমি কোনটা নেবে চাঁদ নাকি বৃষ্টি?
যদি চাঁদ নাও তবে লাস্যময়ীর কালোরাত লজ্জা পাবে
দিনের বেলায় চাঁদের আলো হবে চুরি
ঈর্ষার আকাশে জ্বলে উঠা চাঁদ হেলে পড়বে নাগরিক ক্লান্ত ঘরে।
যদি বৃষ্টি নাও তবে সব অভিমান ধুয়ে যাবে জলে
মানস সুন্দরীর রূপালী চঞ্চু বেয়ে ভালোবাসার ঝর্ণাধারা আসবে নেমে।
বৃষ্টির নামার দিনে
…………………………..
পুকুর-জলাশয় সব পানিতে থৈ থৈ করছে
ব্যাঙগুলো ঠিকই প্রকৃতির ভালোবাসা বোঝে
নয়া জলের উচ্ছাসে তারা আদিম লীলায় উঠে মেতে।
মেয়ে তুমি সব বোঝে শুধু বৃষ্টির মর্ম বোঝ না।
প্রকৃতি সব বোঝে
…………………………
ওগো মেয়ে, চোখ তুলে তাকাও বাহিরে
দেখ জানালার কার্নিশ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে বর্ষার জল
তোমার বিষন্ন বদন দেখে মেঘেরাও আজ কেঁদে ফেলছে দুঃখে।
জনম দুঃখীর কষ্টের ব্যাথা আর কেউ না বুঝুক
প্রকৃতি ঠিকই বোঝে।
বর্ষার সমীকরণ
……………………….
আজ ষোল কলাই পূর্ণ হবে আমার
ভেজা প্রকৃতির সাথে ভিজিবো দু’জনে।
ক্ষ্যাপা ধৈর্য্যকে আজ ছুটি দিয়েছি
সারা দিনমান কবিতা লিখবো বলে।
এক পশলা বৃষ্টি
……………………………
অবুঝ বৃষ্টির অপেক্ষায় বৃদ্ধের মতো চোখের কোণায় দেখা দিয়েছে বয়সের ছাপ
শূন্যতায় কালো মেঘ দেখে আগেই আত্মহত্যা করেছে রূপালি তারা
ভ্রান্তি তীক্ষ্ন দৃষ্টি নিয়ে একটু পরপরেই আকাশে উঁকি মারছে সূর্য রশ্নি
তীব্র খরায় নপুংসক হয়ে যাচ্ছে ধরা।
তপ্ত ধরায় এবার এক পশলা বৃষ্টি চাই সুখের।

0 মন্তব্যসমূহ