সন্ন্যাসী হবো
পোশাকি আবরণ খুলে আবারও নগ্ন হবো ফিরে যাব আদিম সত্ত্বায়। নগরের আশ্রয় হারানো ডানা ভাঙ্গা পাখির সাথে মিতালী করে স্নিগ্ধ অন্ধকারে খুঁজে নেবো পরিযায়ী সু…
পোশাকি আবরণ খুলে আবারও নগ্ন হবো ফিরে যাব আদিম সত্ত্বায়। নগরের আশ্রয় হারানো ডানা ভাঙ্গা পাখির সাথে মিতালী করে স্নিগ্ধ অন্ধকারে খুঁজে নেবো পরিযায়ী সু…
উজানে মানুষের ঢল নেমেছে ভাটিতে হচ্ছে সারা কেঁদে কেঁদে রাতদিন কাটছে তাদের হয়েছে দুকূল হারা ফসল খেয়েছে রাক্ষুসী বান ভিটে খাচ্ছে নদী ওহে দয়াময় দরদী তো…
(১) আনাড়ি কবির কীবোর্ডের চাপে মাজা ভেঙ্গেছে কবিতার কলমের খোঁচায় শব্দরা অকালে ভূমিষ্ঠ করে সন্তান। অবশেষে বাবা হওয়ার স্বাদ নিয়ে হাসি মুখে আঁতুড় ঘর…
নন্দিনী ডাগর চোখের চাহনীতে আমার বাউন্ডুলে মন নিয়েছিস তুই কেড়ে আগে তো জানিনে প্রয়োজন ফুরালে দিবি আমায় ফেলে, আমি তো বার বার আসি ফিরে পুরান প্রেমের টা…
কষ্টের লাঙ্গল অনবরত চষে বেড়াচ্ছি ক্ষুধার্ত পেটে ভালোবাসা উর্বরা হবে বলে নিরন্তর পুড়ে যাচ্ছি অনলে। সুখ নয় হাতের মুঠোয় নিয়ে ঘুরছি নিকোটিনের বিষ মেয়ে…
প্রিয় সুনয়না, একুশ শতকের এই ডিজিটাল যুগে এই চিঠি দেখে তুমি হয়তো একটু অবাক হবে। ভাববে আমি হয়তো এখনও সেই মান্ধাতার আমলেই পড়ে আছি। আমি জানি এমতেই …
“মা” এখন কেমন আছো তুমি। ইট-সিমেন্টের চার দেয়াল ঘেরা এই ঢাকা শহরে প্রতিটি ক্ষন শুধু তোমার কথা মনে পড়ে। এখন আর ইচ্ছে হলেই আগের মতো তোমায় দেখতে পারি না…
নন্দিনী, এইখানে বসো দুচোখ মেলে তাকাও শীতল হাওয়ার চুম্বনে জুড়িয়ে দেব কপোল মাঝে মাঝে বুকের কার্নিশ ছুঁয়ে আমায় নাড়া দিয়ে যেও। এইখানে আরও কিছুকাল বসে থ…
খোকা কেমন আছিস জানতে চাইবো না। কেননা সব মায়েদের চাওয়াই থাকে তার খোকা যেন সব সময় ভাল থাকে, সুস্থ্য থাকে। আমাকে ছেড়ে নিশ্চয়ই তুইও ভাল আছিস। আর ভাল থাক…
স্মৃতিগুলো অমলিন …………………………….. যৌবন আসে যৌবন চলে যায় বয়স বাড়ে মানুষ বুড়ো হয় স্মৃতিগুলো চিরযৌবনা সবসময় রয়ে যায়। মানুষগুলো …………………… তারপর নদীর পা…
প্রিয় মেঘ, বৃষ্টি ভেজা সদ্য ফোটা কদম ফুলের শুভেচ্ছা নিও। জানি না তুমি এখন কেমন আছো? জানার অধিকার হারিয়ে ফেলেছি বলে জানতেও চাইবো না। আমি জানি আমার ওপ…
প্রিয়তমা, জানি তোমার মন ভাল নেই। তাই ‘কেমন আছো’ এই প্রশ্ন করে তোমার মন আরও খারাপ করে দিতে চাচ্ছি না। বিয়ের পর একা একা যে মানুষ ভাল থাকতে পারে না আম…
অতঃপর বাবার শরীর জুড়ে নেমে এল ক্লান্তির রাত শুধু স্যাঁতস্যাঁতে ঘেন্নামাখা চোখদুটো নিয়ে আবারো ধর্ষিত হবার আশঙ্খায় জেগে রইলেন মা।
বর্তমানে মানুষই সবচেয়ে বড় কারিগর বলে দেবতার গৃহে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে পূজারীর প্রবেশ। বিষাদের ভুল মন্ত্রজপে তারা অতৃপ্ত আত্মাকে ডেকে আনে পাপ-পূণ্যের …
দেখ তোমার বর্ণিল বুক জুড়ে উঠছে উম্মত্ত সমুদ্রের ঢেউ চিরকাল সাঁতারে অপটু ছিল যে ছেলেটি সে এখন দিব্যি পালতোলা নৌকার মতো ছুটে চলে অবিরাম। সভ্যতার রমরম…
নন্দিনী তুমি ভোরের আলো দেখেছো কিন্তু আর্তনাদ শোননি অপেক্ষার দীর্ঘ রাতে চাঁদের আলো কেন ম্লান হয়ে যায় তাও জাননি। তোমার দেয়া কষ্টের সদাই বুক পকেট…
এমন মন খারাপ আমার জন্য নতুন কিছু নয় নন্দিনী সময়ের স্মৃতি ফ্রেমে বন্দি করে অপূর্ণতার মিছিল নিয়ে পথ চলি। শুনেছি প্রেমের কাছে সব পরাজিত হয় স…
চেয়ে দেখ নন্দিনী তোমার এলোকেশী রূপে বিমোহিত হয়ে জানালার কার্নিশে মাথা ঠুকে মরছে সকালের রোদ নাইট গাউনের হিপার খুলে উঁকি মারছে নাস্তার আপেল …
যদি ফিরে না আসি তবে ভুলে যেও নন্দিনী অকাল গর্ভপাতে মেরে ফেলো পোয়াতি ভালোবাসা বিষাদের কান্নায় অনুক্ষণ ভিজে ভিজে আমায় মনে রেখ না হতাশার ঢেক…
তুমি চলে যাওয়ার পর থেকে আর আকাশ দেখি না নন্দিনী টুকরো টুকরো স্বপ্নগুলো চলে গেছে বিক্ষিপ্ত মেঘের পেটে বেসুরো কণ্ঠে জীবনের রঙ্গমঞ্চে আর গাইনি…