একগুচ্ছ কবিতা

(১)
নীল টিকটিকি প্রাণহীন সাদা দেয়াল জুড়ে শোভা বর্ধন করলেও
প্রজন্মের হুঙ্কার তার কানে না যাওয়ারই কথা।
দীর্ঘশ্বাসের রাতে গভীর চিন্তাদের ছুটিতে পাঠিয়ে নাগরিক সমাজ
ব্যস্ত হয়ে দাঁড়িয়ে যায় মুখোমুখি টকহীন জীবনে টকশো করবে বলে।
সদ্য জন্ম নেওয়া সভ্যতার জারজ সন্তান টোঁয়া শব্দে কেঁদে ওঠে বুকের দুধের অভাবে।

(২)
বিষাক্ত অধরের চুম্বনে অনুভূতিহীন হয়ে পড়েছে ভালোবাসা
পোড়া ঠোঁটের নিচে তাই ধরে রাখি অভিলাষী সুখ।
জানি স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই তারপরেও একসমুদ্র তৃষ্ণা নিয়ে বলি
এই তো আছি বেশ, দিনগুলো কেটে যাচ্ছে আরামেই।
বিদঘুঁটে অনুভূতি থেকে ঝরে পড়ছে অবিশ্বাসী রোদ
জোড়া শালিকের ডানা ছিঁড়ে উড়ে যাচ্ছে প্রেমিকার রঙিন স্বপ্ন।

(৩)
অভিজাত জামদানী প্রেম এখন শোভা পায় তোমাদের বৈঠকখানায়
বয়সের ভাঁজ ঢাকা পড়ে গ্যাছে বর্ণিল আলোর জৌলুসে।
সভ্যতার পোশাক পাল্টানো মতো করে প্রতি রাতে নিজেদের পাল্টিয়ে
তোমরা মহামানব সাজতে চেষ্টা করো।

(৪)
বিবস্ত্র রাত্রিকে যৌবনবতী মেয়ে মনে করে কামনার আগুনে পুড়ে মরে উপবাসী শিশ্ন
উনুনে আগুন জ্বালিয়ে সিদ্ধ করে খায় অপাংতেয় ভালোবাসা।
বিকলাঙ্গ শিশুর মতো স্বপ্নচ্যুত সন্ধ্যাটা এখানে আগেই নামে।
নিয়মের ফর্দটা কবেই গিলে খেয়ে ফেলেছে ক্ষুধার্ত মাতাল রাত।

(৫)
আমার বেলাতেই কি শুধু নিয়মের ব্যাত্যয় ঘটে তোমার?
সাপের খোলসের মতো তোমার মাঝেই তো পরিবর্তনের ছায়া দেখি বারংবার।
আঁধারের ডিঙ্গি নৌকা বেয়ে কতদূর যাবে মেয়ে? দস্যুবৃত্তি শুধু পুরুষেরা করে না নারীরাও পারে বটে।

0 মন্তব্যসমূহ