বৈপরিত্যের কাল

নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ দেখবে বলে স্বর্গচ্যুত পুরাণ পাখি
অভিশাপের ডানায় ভর করে উড়ে আসে ধরাধামে
প্রকাশ্যে লুন্ঠিত হতে এসে অশরীরী সুখ খোঁজে উর্বশী রাতের মাঝে।
ঠোঁটের গভীর থেকে তুলে আনা বিশ্বাসের পাহাড়ে আগুন দিয়েছিল যে হন্তারক
সে এখন অস্তিত্বের সংকটে পড়ে মধ্যরাতের সুখ তাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করে।
ছেঁড়া নোটে দেখা স্বপ্নগুলো পুড়ে যাচ্ছে আগুনে
পুড়ে ছাই হচ্ছে অতিদানবীয় ক্ষুধা
জানালার কার্নিশে মারা যাচ্ছে অভাবী বিকেলের রোদ
তবুও আমরা শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ শুনি ক্ষীণ জীবনের
জীবন নদীর রাস্তার পাড় ভেঙ্গে একেঁবেঁকে চলি।
লাশের কফিনে চুমু খেয়ে বিরহ ভঙ্গিতে গাই শীতের গীত
ভবিষ্যতের রাত আরও দীর্ঘ হয়
এদিকে কাম উত্তেজনায় স্বমেহনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে পুরাণ পাখি।

0 মন্তব্যসমূহ