নৈঃশব্দের পূজারী কবি

নৈঃশব্দের প্রহর গুনে থাকা রাতের আঁধারে দুঃস্বপ্নের ঘুণপোকারা কুড়ে কুড়ে খায় জীবন
মুমূর্ষ মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার পরেও কামের লিপ্সা দানব মাথাচাড়া দিয়ে জেগে উঠতে চায়
কে বলছে অদক্ষ আনাড়ী ছেলে? দেখ অন্ধকারেও সে শুনতে পায় অতৃপ্ত আত্মার হাহাকার।

নিস্তব্ধ রাতের আকাশে তারা খসার মতই নিশাচর পাখি হয়ে বেড়ানো যুবক এখন প্রহর গোনে বারমাস, জন্মান্ধ হওয়ার পরেও আয়নায় দেখে প্রিয়ার মুখ।
নিঃশব্দ বাতাসে ঢেউ তুলে যায় রাতের ঝিঁ ঝিঁ পোকারা আর এদিকে মধ্যরাতের মাতাল আমাকে দেখায় পথের ঠিকানা, রাতের নৈবদ্যতা ভেঙ্গে ঝগড়ায় মেতে উঠি মাতালের সাথে।

শন্দের বাঁধ ভেঙ্গে যাক আজ প্রেমের জোয়ারে, সকল নিস্তবব্ধতা ভেঙ্গে কবির উঠোন জুড়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ুক নীলাভ চাঁদের আলো। নৈঃশব্দের পূজারী কবির কাছে আত্মসমর্পন করুক নিশুতি রাতের সমস্ত শব্দরা।

0 মন্তব্যসমূহ